শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ব্র্যাকের ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন সুবিধাভোগী সমিতির সদস্যদের কিছু চাউল দেয়া হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের সদস্যরা প্রখর রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বাড়িতে। ব্র্যাকের এমন ত্রান বিতরণ নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন চায়ের ষ্টলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মূলত ব্র্যাকের এই ত্রাণ কাদের জন্য এসেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ফসল হারা কৃষক পরিবারের জন্য, না ব্র্যাকের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া তাদের নির্ধারিত সমিতির সদস্যদের জন্য। এমন প্রশ্ন ত্রাণ বিতরণে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। খুঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার জামালগঞ্জ উপজেলা ব্র্যাক কার্যালয়ে ত্রাণ (চাউল) দেয়া হয়। এ খবর শুনে ফসলহারা অসহায় মানুষ ছুঠে যান এক মুঠো চাউলের আশায় জামালগঞ্জ কলেজ সংলগ্ন ব্র্যাক কার্যালয়ে। সেখানে যাওয়ার পার ব্র্যাকের ত্রাণ বিতরণ স্লিপ দেখা যায় বেশ কিছু মহিলাদের হাতে। যাদের হাতে স্লিপ রয়েছে, তারা ব্র্যাকের বিভিন্ন সুবিধাভোগী ব্র্যাক সমিতির সদস্য। ত্রাণ বিতরণ স্লিপ যাদের কাছে রয়েছে তাদের কে লাইনে রেখে, বাকী অসহায়দের লাইন থেকে চলে যেতে বলা হয়। ত্রাণ না পেয়ে অসহায়রা খালি হাতে ফিরে যান বাড়িতে। ত্রাণ না পাওয়া আলেয়া বেগম বলেন, ব্র্যাকে চাউল দিতাছে হুনে গেছিলাম তারার অফিস, লাইনে খাড়া অইছি এক বেটা আইয়া কয় তুমরাতো ব্র্যাকের সদস্যনা তুমরা যাও, তুমাগো এই চাউল দেয়া অইবনা। যারা আমরার সদস্য হেরারে দিমু। জয়মালা বেগম বলেন, কড়া রইদে লাইনে আছিলাম, বেরাকের লোকেরা হেরার মানুয়ের মুখ দেইখ্যা দেইখ্যা লাইনে রাখছে। আর আমরার মতো লোক যারা আছিলাম সকলরেই খালি হাতে বিদায় কইরা দিছে। হৃদয়া বেগম বলেন, ব্র্যাক সমিতির সদস্য যারা হেরা তো সব সময়ই ব্র্যাক থাইক্কা সুবিধা পায়। হেরার কি জমিন ডুবছে খালি হেগোরেই চাউল আর টেহা দিব। আমরার খবর তো কেউ রাখেনা, কি কষ্টে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া দিন যাইতাছে। এ ব্যাপারে ব্র্যাকের জামালগঞ্জ উপজেলা ম্যনেজারকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ব্র্যাকের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান বলেন, জামালগঞ্জে ৩০ কেজি চাউল ও ৫শত টাকা করে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। তবে ব্র্যাক সমিতির সদস্য যারা তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। সমিতির সদস্য ছাড়া অসহায় পরিবারের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি। এ বিষয়ে ব্র্যাকের সুনামগঞ্জ জেলা এরিয়া ব্যাবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, জামালগঞ্জে আমাদের তালিকা অর্ন্তভুক্তি যারা শুধুই তাদেরকে ত্রাণের স্লিপ মাধ্যমে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে পরবর্তিতে বলা যাবে।